বগুড়া জেলায় সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নে এনায়েত আলী উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলটি অত্রাঞ্চলের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ এবং দেশের স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়।
স্কুলের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মনুষ্যত্ব অর্জন-এ সাহায্য করা এবং শিক্ষার মাধ্যমে তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, যা তাদের নীতিবাক্য থেকেই বোঝা যায়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্কুলটি একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন ও মানবিক গুণাবলী বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
এনায়েত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো এটি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন একটি বিদ্যালয়, যা ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করে। এটি বগুড়া জেলার পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এর নীতিবাক্য "শিক্ষার উদ্দেশ্য মনুষ্যত্ব অর্জন"। স্কুলটি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এর বর্তমান সভাপতি এ্যাডভোকেট জনাব মোঃ কামাল উদ্দিন ।
স্কুলের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো:
সুশৃঙ্খল ও শিক্ষাদানের পরিবেশ:
স্কুল হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান আদান-প্রদান হয়। এটি একটি সুসংগঠিত ও শিক্ষণীয় পরিবেশ নিশ্চিত করে।
অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষক:
স্কুলগুলিতে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ মেধাবী ও অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাঠদান করেন, যারা শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারেন।
নৈতিক ও সামাজিক শিক্ষা:
শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান নয়, শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ, আচার-আচরণ এবং জেন্ডার সচেতনতা শেখানোর ওপর জোর দেওয়া হয়।
শারীরিক ও মানসিক বিকাশ:
একটি ভালো স্কুল শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও সমান গুরুত্ব দেয়। খেলাধুলা, বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিনোদনমূলক কার্যকলাপ এবং সুস্থ পরিবেশের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা হয়।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুবিধা:
ভালো স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।
ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষা ও যত্নশীল পরিবেশ:
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলে, যা একটি উষ্ণ ও যত্নশীল পরিবেশ তৈরি করে।
সহশিক্ষা কার্যক্রম:
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বনভোজন, এবং বিভিন্ন উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের অতিরিক্ত অভিজ্ঞতা দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
অনেক ভালো স্কুল অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞ আলেম-ওলামাদের পরামর্শে পরিচালিত হয়, যা শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।